বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে ঈদের বিরতির পর আবারো অবস্থান নিয়েছেন (ডিএসসিসি) কর্মচারীরা। তাদের সঙ্গে ঢাকাবাসীর ব্যানারে নগরভবনে একত্রিত হয়েছেন ইশরাকের অনুসারীরা। সেখানে উপস্থিত হয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইশরাক হোসেন।

আজ রোববার সকাল থেকে ইশরাকের অনুসারীরা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগরভবনে একত্রিত হয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলেও, সকাল ১১ টার দিকে নগরভবনে প্রবেশ করেন ইশরাক হোসেন।

সেখানে উপস্থিত হয়ে তিনি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

ইশরাক হোসেন বলেন, সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করেন। তাহলে অচল অবস্থা কেটে যাবে। এই সমস্যা সুরাহা না করা পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

ইশরাক আরও বলেন, আমাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা সংবিধান লংঘন করেছেন। আন্দোলন চলবে। এখান থেকে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। এখন এই লড়াই থেকে ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই।

প্রধান উপদেষ্টাকে আমি আহ্বান জানাবো, তিনি যেন এই বিষয়টি সরাসরি নিজে তত্ত্বাবধান করেন। আমরা সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় বিশ্বাস করি।

এখন আন্দোলন যেভাবে চলছে, এমন অবস্থা থেকে কোনোভাবেই আমরা এখান থেকে ফিরে যেতে পারি না। আদালত এবং জনগণের রায়কে আপনারা মেনে নিন।

ইশরাক আরোও বলেন, আমরা যদি আন্দোলন থেকে পেছনে ফিরে যাই, তাহলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না। সরকারকে তাই আহ্বান জানাবো, আপনারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এর নিষ্পত্তি করেন। নইলে আগামীতেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এই সংকটে চলবেই।

আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যেসব দৈনন্দিন কার্যক্রম চলবে, জনগণের জন্য ভোগান্তি না হয়। এগুলো আমাদের তত্ত্বাবধানে চলমান থাকবে।

এ সময় ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের “মেয়র নিয়ে তালবাহানা, সহ্য করা হবে না”, “শপথ শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই”, “চলছে লড়াই চলবে, ইশরাক ভাই লড়বে” সহ “নগর পিতা ইশরাক ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই”- ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এ সময় আন্দোলনকারীদের স্লোগানে উত্তাল ছিল পুরো নগরভবন।

এই আন্দোলনের ফলে বিরতির আগে (১৫ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত) নগর ভবন থেকে দেওয়া সব নাগরিক সেবা বন্ধ ছিল। ঈদের ছুটির পর আজ থেকে ফের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন ইশরাকের অনুসারীরা।