ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সম্প্রতি দুই জনের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনরোষে পড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের উস্কানিমূলক মন্তব্য ও আচরণের কারণে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
ভারতের একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সম্প্রতি ময়ূখ রঞ্জন মন্তব্য করেন, “থাকবে না বাংলাদেশ, থাকবে না।” এই মন্তব্যের পর থেকেই তিনি জনরোষের শিকার হন। ফেসবুকে পূজা শর্মা নামের একজন ভারতীয় নাগরিক লিখেছেন, “ভয়ে আমাদের সামনে আসছে না ময়ূখ দাদা! আজ তাকে বোরকা পড়ে পালিয়ে যেতে দেখলাম রিপাবলিক বাংলার সামনে। ভাগ্যিস বোরকাটা পড়েছিলো না হলে তো গণধোলাই খেতো।” অপরদিকে, বিজয় কুমার নামের আরেক ভারতীয় লিখেছেন, “ময়ূখ রঞ্জনের প্রোপাগান্ডায় অতিষ্ট হয়ে আর ঘরে বসে থাকতে পারলাম না। ও কি সাংবাদিক নাকি আস্ত একটা হকার? রিপাবলিক বাংলা টিভিও বা কেমন? ওর মত এক বলদকে রেখেছে উপস্থাপনা করতে?”
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীও নানা সময় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি, তিনি দাড়ি গোঁফ রেখে আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে জানা যাচ্ছে। ফেসবুকে কয়েল রাণী নামের একজন লিখেছেন, “কসাই মোদির দলের নেতা শুভেন্দুকে দেখলাম দাড়ি গোঁফ রেখেছে, আর বাজারে সাধারণ মানুষের মত হেটে যাচ্ছে। পালিয়েছে আগে জানলে ধরে তো গণধোলাই দিতাম।” অভিজিৎ নামের আরেকজন শুভেন্দুর একটি ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, “যখন তখন বলেন পাকিস্তানকে গাজা বানাবেন, কৈ এবার হলো তো? যুদ্ধ করে কি লাভ হলো ক্ষতি ছাড়া? মুসলমানদের নিয়ে কটাক্ষও করেন আপনি মাঝেমধ্যে। ভারতবর্ষ শুধু হিন্দুদের নয় সবার। এখানে হিন্দু মুসলিম সবাই থাকবে, তোমার না পোষালে তুমি ইসরায়েলে চলে যেতে পারো। কিন্তু এরপর আর মুসলিমদের নিয়ে কিছু বললে তোমাকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা জুড়ে ময়ূখ রঞ্জন ও শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। তাঁদের মধ্যে ভারতীয় হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাই বেশি। তাঁদের দাবী, টেলিভিশনটি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকেও উস্কে দিয়েছিলো এটি, এমনটিই দাবি তাঁদের। আর এসবের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে তাঁরা ময়ূখ রঞ্জনের কথা বলে আসছেন বারবার।
এই পরিস্থিতিতে, ময়ূখ রঞ্জন ও শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ভারতীয় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।