চলতি বছরের এইচএসসি/আলিম ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ জুন থেকে। দিন গণনায় হাতে আর মাত্র ১০ দিন। এ সময়টাকে কাজে লাগিয়ে পরীক্ষার্থীদের নিতে হবে সুচিন্তিত প্রস্তুতি। পরিকল্পনা, রিভিশন আর অনুশীলনের সমন্বয়েই হতে পারে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনের চাবিকাঠি।
শেষ মুহূর্তে (এইচএসসি/আলিম) পরীক্ষার্থীদের করণীয় কী—তা নিয়ে থাকছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।
সঠিক পরিকল্পনা নিন:
ভালো ফলাফল করতে হলে আগে লাগবে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। কোন বিষয় কতটা পড়তে হবে, কোন অংশগুলো বেশি গুরুত্ব পাবে—এসব বিষয় মাথায় রেখেই নিজের মতো করে একটা স্টাডি প্ল্যান তৈরি করুন এবং তা প্রতিদিন মেনে চলুন।
পড়ার রুটিন তৈরি করুন:
প্রতিদিনের পড়ালেখা যেন এলোমেলো না হয়, সে জন্য প্রয়োজন একটি কার্যকর রুটিন। কোন বিষয় কখন পড়বেন, কতক্ষণ সময় দেবেন—এসব পরিষ্কারভাবে নির্ধারণ করে নিন। বিজ্ঞান, মানবিক বা ব্যবসায় শিক্ষা—যে বিভাগেই পড়ুন না কেন, রুটিন অনুসরণ করাটা অত্যন্ত জরুরি।
বোর্ডে টানিয়ে রাখুন প্রয়োজনীয় তথ্য:
পড়ার টেবিলের সামনে একটা বোর্ড থাকলে তাতে সংক্ষেপে লেখা যেতে পারে পরীক্ষার রুটিন, প্রয়োজনীয় সূত্র, মানচিত্র, গ্রাফ, ছবি কিংবা জটিল টপিকের নোট। এতে বারবার চোখে পড়বে এবং সহজে মনে থাকবে।
সাইড নোট করুন:
পড়ার সময় যেসব বিষয় বুঝতে সমস্যা হয়, সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে নোট করে রাখুন। পরে শিক্ষক, অভিভাবক বা সহপাঠীর সাহায্যে সমাধান করে নিতে পারবেন। এতে দুর্বল অংশগুলো সহজেই ঠিক করা যাবে।
গাণিতিক বিষয়গুলো নিয়মিত অনুশীলন করুন:
গণিত, পদার্থ, রসায়ন বা অর্থনীতির মতো গাণিতিক বিষয়গুলো অনুশীলন ছাড়া আয়ত্তে আসে না। প্রতিদিন সময় নির্ধারণ করে এসব বিষয় চর্চা করুন। যত বেশি অনুশীলন করবেন, তত ভয় কমে যাবে।
প্রতিদিনের পড়া সেদিনই শেষ করুন:
যে দিন যেটা পড়ার কথা, সেটাই সেদিন শেষ করার চেষ্টা করুন। এতে পড়া জমে থাকবে না, পরীক্ষার আগে আলাদাভাবে চাপও তৈরি হবে না। নিয়মিত পড়া বজায় রাখলে প্রস্তুতিও নিখুঁত হবে।
পড়া এবং লেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন:
শুধু পড়লেই হবে না—যতটা সম্ভব লেখার চর্চা করুন। প্রশ্নোত্তর লিখে অনুশীলন করলে মুখস্থ পড়া ভালোভাবে মনে থাকে এবং লেখার গতি ও নির্ভুলতা বাড়ে।
রিভিশন দিন, নতুন কিছু শুরু নয়:
এখন নতুন করে কিছু পড়ার সময় নয়। এখন সময় আগের পড়াগুলোর রিভিশন করার। পুরনো টপিকগুলো বারবার ঝালিয়ে নিতে পারলে ভুলগুলো ধরতে পারবেন, আর তা সংশোধন করাও সহজ হবে।
সফলতার চাবিকাঠি আত্মবিশ্বাস ও নিয়মিত চর্চা:
পরীক্ষার দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই নিজেকে ঠান্ডা মাথায় প্রস্তুত রাখতে হবে। সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আত্মবিশ্বাস ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে যে কেউ নিজের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারে।