সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান এর স্নায়ু যুদ্ধ রূপ নিয়েছে সামরিক অভিযানের দিকে। গত ৭ মে হঠাৎ ই ভারত অপারেশন সিঁদুর নামে পাকিস্তানের ৩টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে আচমকা মিসাইল হামলা করে। অপ্রস্তু পাকিস্তান বাহিনী যেভাবে তা সামলে নিয়েছে:
সেদিন ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের আশঙ্কায় পাকিস্তান এয়ার ফোর্স (PAF) ব্যাপক সামরিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলো। PAF-এর বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, ৪২টি উচ্চপ্রযুক্তির যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয় এবং আকাশে সম্পূর্ণ কন্ট্রোল ও সুপিরিয়রিটি বজায় রাখা হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে বাণিজ্যিক বিমানের রুট পরিবর্তন করা হয়।
যুদ্ধনীতির নিয়ম পরিবর্তন করে করা হয়: “Assure Kill, Deny Own Loss”—অর্থাৎ শত্রুকে নিশ্চিতভাবে ধ্বংস করতে হবে এবং নিজের কোনো ক্ষতি মেনে নেওয়া যাবে না। এই মোডে চলে যায় পাকিস্তান এয়ারফোর্স। আগের কৌশল ছিল “Deter”, অর্থাৎ বাধা দেওয়া বা ভয় দেখিয়ে দূরে রাখা। সেই রাতে সেটি পরিবর্তন করে করা হয়েছে “Destroy”, দেয়া হয়েছে বিশেষভাবে রাফালে টার্গেট করে আঘাত হানার নির্দেশনা।
১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তীব্র ডগফাইট চলেছে আকাশে। পাকিস্তান দাবি করেছে যে, তারা তিনটি ভারতীয় রাফালে, একটি SU-30MKI এবং একটি MiG-29 বিমান ভূপাতিত করেছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এসব দাবি অস্বীকার করেছে, তবে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। সামরিক বিশ্লেষকরা এটিকে আধুনিক যুগের অন্যতম বড় আকাশযুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
এই সংঘর্ষে পাকিস্তান চীনা নির্মিত J-10C যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। ভারতীয় রাফালে বিমানগুলো পাকিস্তানের আকাশে প্রবেশের পর তা শনাক্ত করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই ঘটনা ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘনের আশঙ্কা এবং পাকিস্তানের শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার প্রতিফলন।
উল্লেখযোগ্য যে, পাকিস্তান এয়ারফোর্সের এই প্রতিক্রিয়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে এবং দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।